শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:২৬

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্য মাসুদের কীর্তি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝর!

বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্য মাসুদের কীর্তি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝর!

dynamic-sidebar

স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য মাসুদ আলম খান’কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তোলপাড় চলছে। তিনি বিভিন্ন নামি দামি আবাসিক হোটেলগুলোতে নানান অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে বলেও জানা গেছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহরিয়ার আলম মাসুদ খান বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রদল থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে। হঠাৎ করেই তিনি ভোল পাল্টিয়ে মুজিব কোর্ট পরে সুবিধা বাদি হিসেবে আওয়ামী লীগে স্থান করে নিয়েছে৷ জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ার পরেই শুরু চাকুরির প্রলোভন, টিউবওয়েল, রাস্তা ঘাটের কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ইতোমধ্যেই তিনি কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

 

২০০১ সালে এক কেজি গাজাসহ লেবুখালিতে বসে আটক হওয়ার ঘটনায় ১ মাস পটুয়াখালী জেল হাজতে কারাবাসও হয় তার।

 

বরিশাল জেলা পরিষদ ও তার স্বজন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি টিউবয়েল, মেয়ে বিয়ে, স্থানীয় শালিসি বিচারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারনার নামে আত্মসাৎ করে আসছে। বরিশালের কোন স্থানে তার কোন বাড়ী কিংবা ভাড়া বাসা না থাকলেও দির্ঘদিন পর্যন্ত শহরের নামি দামি আবাসিক হোটেল গুলোতেই তিনি বসবাস করে আসছেন।

 

বিভিন্ন হোটেলের সূত্রে জানা গেছে, নিত্য নতুন মেয়ে আর মাদক সেবনের জন্যই একেক সময় একেক হোটেলে তিনি নিজের নিরাপদ ডেরা হিসেবে আস্তানা গেড়েছেন। অনেক হোটেল গুলোতেই তার কাছে ৩০/৩৫ হাজার টাকা করে পায় কিন্তু টাকার অংক বাড়লেই সে হোটেল ত্যাগ করে অন্য হোটেলে আস্তানা গড়ে।

 

তিনি বরিশালের বড় একটি মাদক গ্যাংও পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর কৌশল হিসেবে বরিশালের সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে আসছে মাদক আনা নেয়ার কাজে।

 

নাম না প্রকাশের শর্তে হোটেল ওয়ানের এক বয় জানান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের খুবই কাছের লোক মাসুদ তার কক্ষে প্রতিদিন নতুন নতুন লোকজনের আনা গোনা।

 

আর এ বিষয়ে হোটেল ম্যানেজার তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সব কাজ তো নিজে করতে পারে না অনেক বিচার শালিসি তার উপর দায়িত্ব দিয়েছে যে কারনে এত লোকজনের আনাগোনা৷

 

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাজ করছে তাই তার বিরুদ্ধে কেউ কোন মূখ খুলতে সাহস পায় না। সাংসারিক ঝামেলা মিটানোর শালিস করতে গিয়ে ব্লাক মেইল করে নারীদের শ্লীলতা হানি করায় তিনি বেশ পটু৷

 

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পরিষদে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে যার তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কার্যক্রম চলছে বলে জানান জেলা পরিষদের একাধিক সূত্র ।

 

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net